১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
কার্গো ভিলেজের আগুন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম ও বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্যগুলো জানান।ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, আগুন নেভাতে দেরি হওয়ার প্রধান এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। তিনি বলেন:”আসলে আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সবসময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে।”প্রচুর বাতাসের কারণেই ধোঁয়া অনেক উপর পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ফায়ার ফাইটিংয়ের কাজ শুরু করে।ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো পৌঁছানোর সময় এভিয়েশনের ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যালগুলোও কাজ করছিল। মোট ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি জানান। তবে এর পরের সময়টা ছিল নির্বাপণের কাজ। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাপণের কাজ চলছে, যা আধা ঘণ্টার বেশি সময় নিতে পারে বলে তিনি ধারণা দেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে আমদানি কার্গো রাখার স্থানে, যার আনুমানিক আয়তন প্রায় ৪শ গজ বাই ৪শ গজের মতো। এই স্থানে খোলা এবং বদ্ধ স্টোরে বিভিন্ন মালামাল রক্ষিত ছিল। ফায়ার সার্ভিসের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারে বলে খবর পাওয়া গেলেও, সেই সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর নেই। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ডিজি। তিনি বলেন, একদিকে আগুন নেভানো হচ্ছিল, অন্যদিকে জিনিসপত্র বের করার জন্য জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু জিনিসপত্র বের করা সম্ভব হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, “আগুনের সূত্রপাতটা আমরা এখনো এটা আসলে আগুন নেভানোর পরে এটা বলা যাবে তদন্ত সাপেক্ষে। এখন আমরা এটা বলতে পারছি না।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

‘জুলাই সনদে’ এনসিপি’র অনাস্থা: আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হলে গণপ্রতারণা

কার্গো ভিলেজের আগুন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ১১:০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম ও বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্যগুলো জানান।ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, আগুন নেভাতে দেরি হওয়ার প্রধান এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। তিনি বলেন:”আসলে আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সবসময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে।”প্রচুর বাতাসের কারণেই ধোঁয়া অনেক উপর পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ফায়ার ফাইটিংয়ের কাজ শুরু করে।ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো পৌঁছানোর সময় এভিয়েশনের ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যালগুলোও কাজ করছিল। মোট ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি জানান। তবে এর পরের সময়টা ছিল নির্বাপণের কাজ। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাপণের কাজ চলছে, যা আধা ঘণ্টার বেশি সময় নিতে পারে বলে তিনি ধারণা দেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে আমদানি কার্গো রাখার স্থানে, যার আনুমানিক আয়তন প্রায় ৪শ গজ বাই ৪শ গজের মতো। এই স্থানে খোলা এবং বদ্ধ স্টোরে বিভিন্ন মালামাল রক্ষিত ছিল। ফায়ার সার্ভিসের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারে বলে খবর পাওয়া গেলেও, সেই সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর নেই। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ডিজি। তিনি বলেন, একদিকে আগুন নেভানো হচ্ছিল, অন্যদিকে জিনিসপত্র বের করার জন্য জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু জিনিসপত্র বের করা সম্ভব হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, “আগুনের সূত্রপাতটা আমরা এখনো এটা আসলে আগুন নেভানোর পরে এটা বলা যাবে তদন্ত সাপেক্ষে। এখন আমরা এটা বলতে পারছি না।”