০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নির্বাচন করার ঘোষণা

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছিলেন।

পদত্যাগ ও নির্বাচন ঘোষণা:

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে একইসঙ্গে তিনি নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার করে জানান, উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করা সমীচীন নয়। তার পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন করবো। উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করা উচিত না। ওপর থেকে যে সিস্টেম আছে সেটা মেনে চলতে হয়। পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হবে।”

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও দলীয় অবস্থান:

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা এখনও নিশ্চিত করেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তবে কোন দল থেকে নির্বাচন করবো সেটা নিশ্চিত না। এখনও বলার কিছু নাই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দায়িত্বে থাকাকালীন পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর তিনি বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ও জল্পনা:

আসিফ মাহমুদ ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন। এই ঘোষণার ধারাবাহিকতায়, তিনি গত ৯ নভেম্বর তার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে ধানমন্ডিতে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় যে তিনি ঢাকা-১০ আসন (যা ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিএনপি’র সাথে সমঝোতা বা দলটি থেকে নির্বাচন করার সম্ভাবনার খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তবে, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি দ্বিতীয় দফায় যে ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে, সেই তালিকায় ঢাকা-১০ আসনও রয়েছে। এর ফলে, আসিফ মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নাকি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ভোট করবেন, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।

প্রেক্ষাপট:

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন এই সরকারে জায়গা পান। এদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা এবং পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তার পদত্যাগ এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

জনপ্রিয়

স্বাধীনতার সুফল আমরা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি : মামুনুল হক

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নির্বাচন করার ঘোষণা

প্রকাশিত : ০৭:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছিলেন।

পদত্যাগ ও নির্বাচন ঘোষণা:

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে একইসঙ্গে তিনি নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার করে জানান, উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করা সমীচীন নয়। তার পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন করবো। উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করা উচিত না। ওপর থেকে যে সিস্টেম আছে সেটা মেনে চলতে হয়। পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হবে।”

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও দলীয় অবস্থান:

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা এখনও নিশ্চিত করেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তবে কোন দল থেকে নির্বাচন করবো সেটা নিশ্চিত না। এখনও বলার কিছু নাই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দায়িত্বে থাকাকালীন পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর তিনি বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ও জল্পনা:

আসিফ মাহমুদ ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন। এই ঘোষণার ধারাবাহিকতায়, তিনি গত ৯ নভেম্বর তার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে ধানমন্ডিতে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় যে তিনি ঢাকা-১০ আসন (যা ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিএনপি’র সাথে সমঝোতা বা দলটি থেকে নির্বাচন করার সম্ভাবনার খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তবে, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি দ্বিতীয় দফায় যে ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে, সেই তালিকায় ঢাকা-১০ আসনও রয়েছে। এর ফলে, আসিফ মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নাকি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ভোট করবেন, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।

প্রেক্ষাপট:

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন এই সরকারে জায়গা পান। এদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা এবং পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তার পদত্যাগ এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।