শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন পরিস্থিতি এবং কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন।
উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন যে অগ্নিকাণ্ডটি শুধুমাত্র আমদানি কার্গো অংশেই সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি স্পষ্ট করে জানান, বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং অক্ষত রয়েছে। এই তথ্য কার্গো ও বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে।
শেখ বশির উদ্দিন বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি জরুরি সংকট হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কর্তৃপক্ষের প্রধান লক্ষ্য হলো দ্রুত এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা এবং বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করা। তিনি এই কঠিন সময়ে দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উপদেষ্টা ঘোষণা করেন, “ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তদন্তের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে।”
দুপুর আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটের দিকে কার্গো এলাকায় আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর বিমানবন্দর ফায়ার সেকশন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিট এবং ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো দ্রুত সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন কার্গো এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৩টি স্টেশনের মোট ৩৭টি ইউনিট কাজ করেছে। আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে উপদেষ্টা জানান।আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও, এখনো কিছু জায়গায় দাহ্য পদার্থ জ্বলছে, যা কর্তৃপক্ষ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন দ্রুত বিমানবন্দরকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রাথমিকভাবে, এই দুর্ঘটনার কারণ বা ক্ষতির সঠিক আর্থিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।