দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ মূল্যস্তরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য কাঠামো (২০ অক্টোবর থেকে কার্যকর):

স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ার কারণে এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য নিম্নরূপ:

পূর্বের সর্বোচ্চ মূল্য সমন্বয়:

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেইবার ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ছিল এত দিন দেশের বাজারে সর্বোচ্চ দাম।

বারবার মূল্য সমন্বয়ের প্রবণতা:

দেশের বাজারে এই নিয়ে চলতি বছরে মোট ৬৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে ৪৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং মাত্র ১৮ বার কমানো হয়েছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালেও মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বৃদ্ধি এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল। এই প্রবণতা বাজারের অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাবকেই নির্দেশ করে।

ভ্যাট ও মজুরি সংযোজন:

বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে ক্রেতাদের সতর্ক করে বলেছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির হারে তারতম্য হতে পারে।

রুপার দাম অপরিবর্তিত:

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। বর্তমান মূল্য কাঠামো অনুযায়ী:

• ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬,২০৫ টাকায়।
• ২১ ক্যারেট: ৫,৯১৪ টাকা।
• ১৮ ক্যারেট: ৫,০৭৪ টাকা।
• সনাতন পদ্ধতি: ৩,৮০২ টাকা।