০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
৩ জন গ্রেপ্তার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদ হত্যা: প্রেমঘটিত বিরোধ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানার সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর রৌশান ভিলার সিঁড়িঘরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত মাহির রহমানের সাথে বার্জিস শাবনাম বর্ষার দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে, নিহত জোবায়েদ প্রায় এক বছর ধরে বর্ষার বাসায় পড়াতে যেতেন এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাহির রহমান এই বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন এবং বর্ষার সাথে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। ঘটনার প্রায় এক মাস আগে থেকেই বর্ষা মাহিরকে জোবায়েদকে হত্যার জন্য প্ররোচনা দিতে থাকেন। এরপর তারা পরিকল্পনা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর বউবাজার এলাকা থেকে ৫০০ টাকায় একটি সুইচগিয়ার ছুরি কেনে। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোবায়েদ পড়াতে এলে, নিচতলায় ওঁত পেতে থাকা মাহির ও তার বন্ধু আয়লান জোবায়েদের ওপর হামলা চালায়।বর্ষার সাথে সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মাহির ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে জোবায়েদের গলায় আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার সময় বর্ষা নিজ বাসার তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখছিল।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস.এন. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকা থেকে মাহির রহমান-কে এবং পল্টনের চামেলীবাগ এলাকা থেকে ফারদীন আহম্মেদ আয়লান-কে আটক করা হয়।তার আগে গত রোববার রাতেই বংশাল থেকে বার্জিস শাবনাম বর্ষা-কে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখায় এবং বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বাধীনতার সুফল আমরা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি : মামুনুল হক

৩ জন গ্রেপ্তার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদ হত্যা: প্রেমঘটিত বিরোধ

প্রকাশিত : ০৪:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানার সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর রৌশান ভিলার সিঁড়িঘরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত মাহির রহমানের সাথে বার্জিস শাবনাম বর্ষার দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে, নিহত জোবায়েদ প্রায় এক বছর ধরে বর্ষার বাসায় পড়াতে যেতেন এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাহির রহমান এই বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন এবং বর্ষার সাথে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। ঘটনার প্রায় এক মাস আগে থেকেই বর্ষা মাহিরকে জোবায়েদকে হত্যার জন্য প্ররোচনা দিতে থাকেন। এরপর তারা পরিকল্পনা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর বউবাজার এলাকা থেকে ৫০০ টাকায় একটি সুইচগিয়ার ছুরি কেনে। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোবায়েদ পড়াতে এলে, নিচতলায় ওঁত পেতে থাকা মাহির ও তার বন্ধু আয়লান জোবায়েদের ওপর হামলা চালায়।বর্ষার সাথে সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মাহির ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে জোবায়েদের গলায় আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার সময় বর্ষা নিজ বাসার তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখছিল।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস.এন. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকা থেকে মাহির রহমান-কে এবং পল্টনের চামেলীবাগ এলাকা থেকে ফারদীন আহম্মেদ আয়লান-কে আটক করা হয়।তার আগে গত রোববার রাতেই বংশাল থেকে বার্জিস শাবনাম বর্ষা-কে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখায় এবং বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।