০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কারাগারে পাঠানোর আদেশ বহাল

ট্রাইব্যুনালে হাজির ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘গ্রেপ্তার নন, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন’: আইনজীবী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় হাজির হওয়া ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন দাবি করেছেন যে, কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হননি, বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন জোর দিয়ে বলেন, কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন এবং প্রক্রিয়াগত কারণে হয়তো তাদের ‘গ্রেপ্তার’ দেখানো হয়েছে, কিন্তু তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। এর আগে তারা সেনা আইন অনুযায়ী ‘আর্মি এটাচমেন্টে’ (সেনা হেফাজতে) ছিলেন। কর্মকর্তারা সুনাগরিক হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েছেন এবং এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন। ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন এবং ‘কমিউনিকেশন প্রিভিলেজ’ (যোগাযোগের বিশেষ সুবিধা) এর আবেদন পেশ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আবেদনগুলো শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে এগুলোর ওপর শুনানি হবে।ব্যারিস্টার হোসেন অভিযোগ করেন যে, সত্যিকারের অপরাধীরা, যেমন জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, এবং তারেক সিদ্দিকী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি সাবেক আইজিপির বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন যে, ঘটনাগুলো প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল, এবং কর্মকর্তাদের এতে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ‘সাবজেল’ হিসেবে ঘোষিত একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ শুনানি শেষে মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, এই ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বাধীনতার সুফল আমরা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি : মামুনুল হক

কারাগারে পাঠানোর আদেশ বহাল

ট্রাইব্যুনালে হাজির ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘গ্রেপ্তার নন, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন’: আইনজীবী

প্রকাশিত : ০১:১৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় হাজির হওয়া ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন দাবি করেছেন যে, কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হননি, বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন জোর দিয়ে বলেন, কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন এবং প্রক্রিয়াগত কারণে হয়তো তাদের ‘গ্রেপ্তার’ দেখানো হয়েছে, কিন্তু তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। এর আগে তারা সেনা আইন অনুযায়ী ‘আর্মি এটাচমেন্টে’ (সেনা হেফাজতে) ছিলেন। কর্মকর্তারা সুনাগরিক হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েছেন এবং এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন। ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন এবং ‘কমিউনিকেশন প্রিভিলেজ’ (যোগাযোগের বিশেষ সুবিধা) এর আবেদন পেশ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আবেদনগুলো শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে এগুলোর ওপর শুনানি হবে।ব্যারিস্টার হোসেন অভিযোগ করেন যে, সত্যিকারের অপরাধীরা, যেমন জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, এবং তারেক সিদ্দিকী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি সাবেক আইজিপির বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন যে, ঘটনাগুলো প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল, এবং কর্মকর্তাদের এতে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ‘সাবজেল’ হিসেবে ঘোষিত একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ শুনানি শেষে মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, এই ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।।