সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে করা আপিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে।আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি শুরু করেন অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভুঁইয়া।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।প্রথম দিনের শুনানিতে (গতকাল) অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভুঁইয়া সংবিধান ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কীভাবে বিগত নির্বাচনের সময় দেশে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন।গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের আইনি ইতিহাস:
- ১৯৯৬: ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- ২০১১ (১০ মে): এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা আপিল মামলার চূড়ান্ত শুনানিতে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন।
- ২০১১ (৩০ জুন): এই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়।
- ২০২৪ (৫ আগস্টের পর): সরকার পরিবর্তনের পর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রথমে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলও একই আবেদন দাখিল করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















