০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন মেরুকরণ

বিএনপি-জামায়াতের বাইরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’য় তৃতীয় রাজনৈতিক বলয় তৈরির প্রচেষ্টা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট ও মেরুকরণের প্রক্রিয়া তীব্র হচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে প্রধান দুটি ধারার বাইরে, অর্থাৎ বিএনপি এবং ইসলামপন্থি দলগুলোর জোটের বাইরে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে পুঁজি করে একটি নতুন ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’ বা বলয় তৈরির প্রচেষ্টা এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া।

বর্তমানে দেশের রাজনীতি মোটাদাগে তিনটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে:

১. বিএনপি-কেন্দ্রিক জোট: বড় সংখ্যক সক্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে। ২. জামায়াত-কেন্দ্রিক জোট: ইসলামপন্থি কয়েকটি দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনসহ অভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সমঝোতা একসময় নির্বাচনী জোটে রূপ নিতে পারে। 3. তৃতীয় বলয় (নতুন উদ্যোগ): এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর নেতৃত্বে এই বলয়টি গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, যার মূল ভিত্তি হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ।

তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি তৈরির এই উদ্যোগে মূল ভূমিকা রাখছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম, যারা ইতোমধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে এবং যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে:

  • আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি): এই উদ্যোগের একটি মূল দল।
  • রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন: জুলাই অভ্যুত্থান ও সংস্কারের এজেন্ডাকে ধারণ করে দলগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে।
  • ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ): জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি, যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ না করলেও, একটি সক্রিয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

এই দলগুলোর মূল লক্ষ্য হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সংস্কারের আদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সহায়ক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাওয়া দলগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনা।

তৃতীয় বলয়ের নেতারা আরও কয়েকটি নতুন ও বিকল্প শক্তিকে তাদের জোটে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা থেকে গড়ে উঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংগঠনটিকে এই ঐক্যে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে চান উদ্যোক্তারা। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারও বিএনপি-জামায়াতের বাইরে তৃতীয় শক্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা স্বীকার করেছেন। মোঃ নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদকেও জোটে আনার চেষ্টা চলছে। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন এনসিপির নেতৃত্বাধীন কোনো জোটে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, তৃতীয় শক্তি হওয়ার জন্য জোটের চেয়ে একটি নতুন দল গঠন করা বেশি কার্যকর হতে পারত।গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকেরা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বাদে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য ৫টি দল—জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। যদিও এই দলগুলোর বেশিরভাগেরই বিএনপির সঙ্গে জোট করার ইঙ্গিত রয়েছে।

তৃতীয় বলয় তৈরির চেষ্টার একটি বাস্তব বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ও রাজনৈতিক ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা’ শীর্ষক এই সভায় ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মাহমুদুর রহমান এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান কাইয়ূমের মতো বিশিষ্টজনরা অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনটি মূলত জোটের আদর্শিক ভিত্তি ও আকাঙ্ক্ষাকে জনসমক্ষে তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।

উদ্যোক্তারা তৃতীয় বলয় গঠনের এই প্রচেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আলী আহসান জুনায়েদ (আপ বাংলাদেশের আহবায়ক) নিশ্চিত করেছেন যে, তারা বিএনপি এবং জামায়াতের বাইরে তৃতীয় বলয় তৈরির চেষ্টা করছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চাহিদার আলোকে আগামী নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়েও রাজনীতির মাঠে ভূমিকা রাখতে চান।মজিবুর রহমান মঞ্জু (এবি পার্টির চেয়ারম্যান) এই উদ্যোগকে প্রাথমিক আলোচনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, নির্বাচনী জোটের বাইরে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও ঐক্য নিয়েই মূলত এই চেষ্টা চলছে।হাসনাত কাইয়ুম (রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাদের এই ঐক্যের প্রচেষ্টা পরবর্তীতে বিএনপি, জামায়াতের বাইরে একটি নির্বাচনী জোটেও রূপ নিতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাবের বাস্তবতা দেখছেন এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে এটি আগামী নির্বাচনে দেশের রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য তৈরি করতে পারে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়েও একটি সহায়ক শক্তি হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ড. মাহবুবুল হকের মতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বিকল্পের চাহিদা তৈরি হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই দলগুলো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে পারলে এবং জনআস্থা অর্জন করলে, নির্বাচনের আগে তৃতীয় শক্তি সত্যিকার অর্থেই আলোচনার কেন্দ্রে আসতে পারে।

জনপ্রিয়

স্বাধীনতার সুফল আমরা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি : মামুনুল হক

ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন মেরুকরণ

বিএনপি-জামায়াতের বাইরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’য় তৃতীয় রাজনৈতিক বলয় তৈরির প্রচেষ্টা

প্রকাশিত : ০২:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট ও মেরুকরণের প্রক্রিয়া তীব্র হচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে প্রধান দুটি ধারার বাইরে, অর্থাৎ বিএনপি এবং ইসলামপন্থি দলগুলোর জোটের বাইরে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে পুঁজি করে একটি নতুন ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’ বা বলয় তৈরির প্রচেষ্টা এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া।

বর্তমানে দেশের রাজনীতি মোটাদাগে তিনটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে:

১. বিএনপি-কেন্দ্রিক জোট: বড় সংখ্যক সক্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে। ২. জামায়াত-কেন্দ্রিক জোট: ইসলামপন্থি কয়েকটি দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনসহ অভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সমঝোতা একসময় নির্বাচনী জোটে রূপ নিতে পারে। 3. তৃতীয় বলয় (নতুন উদ্যোগ): এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর নেতৃত্বে এই বলয়টি গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, যার মূল ভিত্তি হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ।

তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি তৈরির এই উদ্যোগে মূল ভূমিকা রাখছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম, যারা ইতোমধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে এবং যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে:

  • আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি): এই উদ্যোগের একটি মূল দল।
  • রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন: জুলাই অভ্যুত্থান ও সংস্কারের এজেন্ডাকে ধারণ করে দলগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে।
  • ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ): জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি, যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ না করলেও, একটি সক্রিয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

এই দলগুলোর মূল লক্ষ্য হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সংস্কারের আদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সহায়ক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাওয়া দলগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনা।

তৃতীয় বলয়ের নেতারা আরও কয়েকটি নতুন ও বিকল্প শক্তিকে তাদের জোটে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা থেকে গড়ে উঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংগঠনটিকে এই ঐক্যে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে চান উদ্যোক্তারা। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারও বিএনপি-জামায়াতের বাইরে তৃতীয় শক্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা স্বীকার করেছেন। মোঃ নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদকেও জোটে আনার চেষ্টা চলছে। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন এনসিপির নেতৃত্বাধীন কোনো জোটে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, তৃতীয় শক্তি হওয়ার জন্য জোটের চেয়ে একটি নতুন দল গঠন করা বেশি কার্যকর হতে পারত।গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকেরা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বাদে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য ৫টি দল—জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। যদিও এই দলগুলোর বেশিরভাগেরই বিএনপির সঙ্গে জোট করার ইঙ্গিত রয়েছে।

তৃতীয় বলয় তৈরির চেষ্টার একটি বাস্তব বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ও রাজনৈতিক ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা’ শীর্ষক এই সভায় ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মাহমুদুর রহমান এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান কাইয়ূমের মতো বিশিষ্টজনরা অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনটি মূলত জোটের আদর্শিক ভিত্তি ও আকাঙ্ক্ষাকে জনসমক্ষে তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।

উদ্যোক্তারা তৃতীয় বলয় গঠনের এই প্রচেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আলী আহসান জুনায়েদ (আপ বাংলাদেশের আহবায়ক) নিশ্চিত করেছেন যে, তারা বিএনপি এবং জামায়াতের বাইরে তৃতীয় বলয় তৈরির চেষ্টা করছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চাহিদার আলোকে আগামী নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়েও রাজনীতির মাঠে ভূমিকা রাখতে চান।মজিবুর রহমান মঞ্জু (এবি পার্টির চেয়ারম্যান) এই উদ্যোগকে প্রাথমিক আলোচনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, নির্বাচনী জোটের বাইরে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও ঐক্য নিয়েই মূলত এই চেষ্টা চলছে।হাসনাত কাইয়ুম (রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাদের এই ঐক্যের প্রচেষ্টা পরবর্তীতে বিএনপি, জামায়াতের বাইরে একটি নির্বাচনী জোটেও রূপ নিতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাবের বাস্তবতা দেখছেন এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে এটি আগামী নির্বাচনে দেশের রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য তৈরি করতে পারে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়েও একটি সহায়ক শক্তি হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ড. মাহবুবুল হকের মতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বিকল্পের চাহিদা তৈরি হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই দলগুলো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে পারলে এবং জনআস্থা অর্জন করলে, নির্বাচনের আগে তৃতীয় শক্তি সত্যিকার অর্থেই আলোচনার কেন্দ্রে আসতে পারে।