০৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে আলোড়ন

জোহরান মামদানির জয় ও ট্রাম্পের ‘সার্বভৌমত্ব হারানোর’ মন্তব্য

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি, যিনি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা করা সত্ত্বেও মামদানি জয়লাভ করেছেন। বিজয়ের পরও ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

🗣️ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার মায়ামিতে এক ভাষণে মামদানির জয় নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

  • সার্বভৌমত্ব হারানোর অভিযোগ: ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিষয়টা সামলে নেব। তবে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। কারণ, নিউইয়র্কের ভোটাররা বামপন্থি জোহরান মামদানিকে তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছেন।”
  • ‘কমিউনিস্ট শহর’ হওয়ার আশঙ্কা: ট্রাম্প তার মন্তব্যের অর্থ ব্যাখ্যা না করলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে নিউইয়র্ক এখন ‘কমিউনিস্ট শহর’ হয়ে উঠবে।
  • ফ্লোরিডায় অভিবাসনের ভবিষ্যদ্বাণী: ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে মানুষ শিগগিরই ফ্লোরিডায় আসবে এবং ফ্লোরিডা তাদের আশ্রয়স্থল হবে।
  • বাছাইয়ের আহ্বান: ট্রাম্পের মতে, আমেরিকানদের এখন ‘কমিউনিজম আর সাধারণ বুদ্ধির’ মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে, যা ‘অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন’ ও ‘অর্থনৈতিক সাফল্যের বিস্ময়ের’ মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সমতুল্য।

🎤 জোহরান মামদানির পাল্টা জবাব

ভোটে জয়ের পর ব্রুকলিনে বিজয় ভাষণ দেওয়ার সময় জোহরান মামদানি ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া জবাব দেন।

  • ‘আওয়াজ বাড়ান’ চ্যালেঞ্জ: মামদানি মঞ্চে উঠে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি জানি আপনি দেখছেন। আমি শুধু বলব—টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।”
  • নেতৃত্বের বার্তা: তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে পৌঁছাতে চাইলে আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।”
  • আশা ও আলোর প্রতীক: মামদানি তার বক্তব্যে বলেন, “আজ আমরা দেখিয়েছি, আশা এখনো বেঁচে আছে। নিউইয়র্কবাসী এখন তাদের নেতাদের কাছে আরও সাহসী পদক্ষেপ আশা করবে।” তিনি যোগ করেন, এই রাজনৈতিক অন্ধকারের সময় নিউইয়র্ক আলোর প্রতীক হয়ে থাকবে।

জোহরান মামদানির এই বিজয় এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বামপন্থি রাজনীতি ও মূলধারার রাজনীতির মধ্যে ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বাধীনতার সুফল আমরা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি : মামুনুল হক

নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে আলোড়ন

জোহরান মামদানির জয় ও ট্রাম্পের ‘সার্বভৌমত্ব হারানোর’ মন্তব্য

প্রকাশিত : ০১:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি, যিনি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা করা সত্ত্বেও মামদানি জয়লাভ করেছেন। বিজয়ের পরও ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

🗣️ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার মায়ামিতে এক ভাষণে মামদানির জয় নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

  • সার্বভৌমত্ব হারানোর অভিযোগ: ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিষয়টা সামলে নেব। তবে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। কারণ, নিউইয়র্কের ভোটাররা বামপন্থি জোহরান মামদানিকে তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছেন।”
  • ‘কমিউনিস্ট শহর’ হওয়ার আশঙ্কা: ট্রাম্প তার মন্তব্যের অর্থ ব্যাখ্যা না করলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে নিউইয়র্ক এখন ‘কমিউনিস্ট শহর’ হয়ে উঠবে।
  • ফ্লোরিডায় অভিবাসনের ভবিষ্যদ্বাণী: ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে মানুষ শিগগিরই ফ্লোরিডায় আসবে এবং ফ্লোরিডা তাদের আশ্রয়স্থল হবে।
  • বাছাইয়ের আহ্বান: ট্রাম্পের মতে, আমেরিকানদের এখন ‘কমিউনিজম আর সাধারণ বুদ্ধির’ মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে, যা ‘অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন’ ও ‘অর্থনৈতিক সাফল্যের বিস্ময়ের’ মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সমতুল্য।

🎤 জোহরান মামদানির পাল্টা জবাব

ভোটে জয়ের পর ব্রুকলিনে বিজয় ভাষণ দেওয়ার সময় জোহরান মামদানি ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া জবাব দেন।

  • ‘আওয়াজ বাড়ান’ চ্যালেঞ্জ: মামদানি মঞ্চে উঠে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি জানি আপনি দেখছেন। আমি শুধু বলব—টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।”
  • নেতৃত্বের বার্তা: তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে পৌঁছাতে চাইলে আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।”
  • আশা ও আলোর প্রতীক: মামদানি তার বক্তব্যে বলেন, “আজ আমরা দেখিয়েছি, আশা এখনো বেঁচে আছে। নিউইয়র্কবাসী এখন তাদের নেতাদের কাছে আরও সাহসী পদক্ষেপ আশা করবে।” তিনি যোগ করেন, এই রাজনৈতিক অন্ধকারের সময় নিউইয়র্ক আলোর প্রতীক হয়ে থাকবে।

জোহরান মামদানির এই বিজয় এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বামপন্থি রাজনীতি ও মূলধারার রাজনীতির মধ্যে ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।