০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
টিউলিপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হুমকিতে!

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সাজা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা এবং ব্রিটিশ আইনসভার সদস্য টিউলিপ সিদ্দিককে একটি দুর্নীতি মামলায় অনুপস্থিতিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রভাবশালী কোনো দেশের বর্তমান জনপ্রতিনিধিকে এভাবে সাজা দেওয়ার ঘটনা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ বছর এবং মা শেখ রেহানাকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

📝 মামলার মূল অভিযোগ ও রায়

অভিযোগ: ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর অভিযোগ অনুসারে, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সেই বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে এবং প্রভাব বিস্তার করে তার মা শেখ রেহানাকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)-এর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট পাইয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি ও প্রভাব বিস্তার করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন এবং বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেন।

সাজার বিবরণ

আদালত এই মামলায় মোট ১৭ জন আসামিকে সাজা প্রদান করেন।

  • টিউলিপ সিদ্দিক: ২ বছরের কারাদণ্ড।

  • শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী): ৫ বছরের কারাদণ্ড।

  • শেখ রেহানা (টিউলিপের মা): ৭ বছরের কারাদণ্ড।

  • অন্য ১৪ জন আসামি: ৫ বছর করে কারাদণ্ড।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় এই সাজা দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

🧑‍⚖️ বিচার প্রক্রিয়া: অনুপস্থিতিতে কেন আইনজীবী নিয়োগ হলো না?

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক অনুপস্থিতিতে বিচার ও আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যা আদালত খারিজ করে দেন।

বিচারক মো. রবিউল আলম রায়ের পর্যবেক্ষণে এর ব্যাখ্যা দেন:

  1. মৃত্যুদণ্ড না থাকা: যেহেতু এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড হয়—এমন কোনো ধারার অভিযোগ নেই, তাই আসামিদের জন্য ‘ডিফেন্স ল’ইয়ার’ নিয়োগ প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।

  2. আত্মসমর্পণ পূর্বশর্ত: বিচারকের মতে, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে আদালতের শুনানির অধিকার দাবি করার আগে সংশ্লিষ্ট আসামিকে আগে বিচার প্রক্রিয়ায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হয় এবং পরে বিচার দাবি করতে হয়। আত্মসমর্পণ না করলে আসামি বিচারিক সুবিধা পেতে পারেন না।

আসামিদের মধ্যে কেবল রাজউকের সাবেক সদস্য (স্টেট ও ভূমি) খুরশীদ আলম বিচার চলাকালে আত্মসমর্পণ করেন। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

🗣️ টিউলিপের বক্তব্য ও রাজনৈতিক প্রভাব

মামলা দায়েরের পর থেকেই টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর দাবি ছিল, এই অভিযোগের মূলে রয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর খালা শেখ হাসিনার মধ্যকার দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছেন।

ব্রিটিশ সরকারের প্রতিক্রিয়া

সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর টিউলিপের আইনসভার সদস্য থাকা বা ব্রিটেনে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিফ সেক্রেটারি ড্যারেন জোন্স মন্তব্য করেছেন।

  • দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: জোন্স মনে করেন, বিদেশি আদালতের এই সাজা নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে টিউলিপের আইনসভায় প্রতিনিধিত্বটা বাধাগ্রস্ত করবে না।

  • রাজনৈতিক বিচার: তিনি এই রায়কে যতটা না আইনগত, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, টিউলিপ সিদ্দিক এই বিচার প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন না এবং তাঁকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠজনের দেওয়া প্লট ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।


📅 মামলার সময়রেখা

  • ১৩ জানুয়ারি (চলতি বছর): ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা দায়ের করেন।

  • ১০ মার্চ: তদন্ত শেষে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল।

  • ৩১ জুলাই: আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ।

  • ২৫ নভেম্বর: মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন।

  • ১ ডিসেম্বর (সোমবার): রায় ঘোষণা।

উল্লেখ্য, পূর্বাচল প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুদক মোট ৬টি পৃথক মামলা দায়ের করে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), শেখ রেহানা ও তার পরিবারের সদস্যদেরসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। এই সবগুলো মামলাতেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

জনপ্রিয়

ড. এজাজুল ইসলাম: অভিনয় ও চিকিৎসার বিরল সমন্বয়

টিউলিপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হুমকিতে!

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সাজা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা

প্রকাশিত : ০৩:১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা এবং ব্রিটিশ আইনসভার সদস্য টিউলিপ সিদ্দিককে একটি দুর্নীতি মামলায় অনুপস্থিতিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রভাবশালী কোনো দেশের বর্তমান জনপ্রতিনিধিকে এভাবে সাজা দেওয়ার ঘটনা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ বছর এবং মা শেখ রেহানাকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

📝 মামলার মূল অভিযোগ ও রায়

অভিযোগ: ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর অভিযোগ অনুসারে, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সেই বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে এবং প্রভাব বিস্তার করে তার মা শেখ রেহানাকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)-এর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট পাইয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি ও প্রভাব বিস্তার করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন এবং বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেন।

সাজার বিবরণ

আদালত এই মামলায় মোট ১৭ জন আসামিকে সাজা প্রদান করেন।

  • টিউলিপ সিদ্দিক: ২ বছরের কারাদণ্ড।

  • শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী): ৫ বছরের কারাদণ্ড।

  • শেখ রেহানা (টিউলিপের মা): ৭ বছরের কারাদণ্ড।

  • অন্য ১৪ জন আসামি: ৫ বছর করে কারাদণ্ড।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় এই সাজা দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

🧑‍⚖️ বিচার প্রক্রিয়া: অনুপস্থিতিতে কেন আইনজীবী নিয়োগ হলো না?

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক অনুপস্থিতিতে বিচার ও আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যা আদালত খারিজ করে দেন।

বিচারক মো. রবিউল আলম রায়ের পর্যবেক্ষণে এর ব্যাখ্যা দেন:

  1. মৃত্যুদণ্ড না থাকা: যেহেতু এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড হয়—এমন কোনো ধারার অভিযোগ নেই, তাই আসামিদের জন্য ‘ডিফেন্স ল’ইয়ার’ নিয়োগ প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।

  2. আত্মসমর্পণ পূর্বশর্ত: বিচারকের মতে, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে আদালতের শুনানির অধিকার দাবি করার আগে সংশ্লিষ্ট আসামিকে আগে বিচার প্রক্রিয়ায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হয় এবং পরে বিচার দাবি করতে হয়। আত্মসমর্পণ না করলে আসামি বিচারিক সুবিধা পেতে পারেন না।

আসামিদের মধ্যে কেবল রাজউকের সাবেক সদস্য (স্টেট ও ভূমি) খুরশীদ আলম বিচার চলাকালে আত্মসমর্পণ করেন। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

🗣️ টিউলিপের বক্তব্য ও রাজনৈতিক প্রভাব

মামলা দায়েরের পর থেকেই টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর দাবি ছিল, এই অভিযোগের মূলে রয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর খালা শেখ হাসিনার মধ্যকার দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছেন।

ব্রিটিশ সরকারের প্রতিক্রিয়া

সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর টিউলিপের আইনসভার সদস্য থাকা বা ব্রিটেনে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিফ সেক্রেটারি ড্যারেন জোন্স মন্তব্য করেছেন।

  • দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: জোন্স মনে করেন, বিদেশি আদালতের এই সাজা নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে টিউলিপের আইনসভায় প্রতিনিধিত্বটা বাধাগ্রস্ত করবে না।

  • রাজনৈতিক বিচার: তিনি এই রায়কে যতটা না আইনগত, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, টিউলিপ সিদ্দিক এই বিচার প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন না এবং তাঁকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠজনের দেওয়া প্লট ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।


📅 মামলার সময়রেখা

  • ১৩ জানুয়ারি (চলতি বছর): ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা দায়ের করেন।

  • ১০ মার্চ: তদন্ত শেষে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল।

  • ৩১ জুলাই: আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ।

  • ২৫ নভেম্বর: মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন।

  • ১ ডিসেম্বর (সোমবার): রায় ঘোষণা।

উল্লেখ্য, পূর্বাচল প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুদক মোট ৬টি পৃথক মামলা দায়ের করে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), শেখ রেহানা ও তার পরিবারের সদস্যদেরসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। এই সবগুলো মামলাতেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।