তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সংকটময় মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আজ, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর), রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়েছে এবং জাতির কাছেও তাঁর জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
🌟 বেগম জিয়াকে ‘ভিভিআইপি’ ঘোষণা ও বিদেশে চিকিৎসার পরিকল্পনা
বিবৃতিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা, উচ্চ মর্যাদা এবং নিরাপত্তা বিবেচনা করে তাঁকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ভিভিআইপি ঘোষণার মূল লক্ষ্য ও সিদ্ধান্তসমূহ হলো:
-
নির্বিঘ্ন চিকিৎসা: হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা যাতে সম্পূর্ণ নির্বিঘ্ন হয়, তা নিশ্চিত করা।
-
উন্নত চিকিৎসা ও বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা: প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা কার্যকর করা।
-
নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা: ভিভিআইপি মর্যাদা অনুযায়ী তাঁর নিরাপত্তা এবং যাতায়াতের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও দল এই বিষয়ে অবগত রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















