০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

পারিশ্রমিক বৈষম্য ও কাজের সময়সীমা: বলিউডে নায়িকাদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিতে সোচ্চার মাধুরী দীক্ষিত

চলচ্চিত্র দুনিয়ায় নায়ক-নায়িকাদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে যে চিরাচরিত বৈষম্য বিদ্যমান, তা নতুন কোনো আলোচনার বিষয় নয়। প্রায়শই শোনা যায় যে, অভিনেতাদের তুলনায় অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের মাপকাঠি অনেক কম, এমনকি কাজের সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে থাকেন। সম্প্রতি এই ইস্যুটি আবার বড় আকারে আলোচনায় আসে যখন দীপিকা পাড়ুকোন দৈনিক আট ঘণ্টার শুটিং শিফটের দাবি তুলে ‘পুরুষতান্ত্রিক ফিল্মিদুনিয়া’য় এক নাড়িয়ে দিয়েছিলেন, যা নিয়ে চর্চা এখনো চলছে।

এবার এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত শুধু পারিশ্রমিক বৈষম্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে নারীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সোচ্চার হলেন। তার মন্তব্য অনুযায়ী, এই বেতন বৈষম্য কেবল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্রতিটা কর্পোরেট সেক্টরেই দেখা যায়।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত, যিনি অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত থেকে শুরু করে শাহরুখ খান, সালমান খান এবং আমির খানের মতো প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। সেই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে মাধুরী বলেন যে, পারিশ্রমিক নিয়ে এমন বৈষম্য ‘চিরকালের’। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই সবাই এর জন্য লড়াই করছেন এবং এটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, নায়িকাদেরও পারিশ্রমিক বাড়ানো উচিত। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, “আমি বলছি না, পুরুষদের থেকে বেশি পারিশ্রমিক দিতে হবে, কিন্তু কোথাও একটা সমতা বজায় রাখা দরকার।”

শুধু পারিশ্রমিক নয়, মাধুরী দীক্ষিত দীপিকা পাড়ুকোনের দাবি করা ৮ ঘণ্টার শুটিং শিফট নিয়েও মুখ খুলেছেন। বলিউডের এই ‘ধক ধক গার্ল’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে জানান, তিনি যখন ‘মিসেস দেশপাণ্ডে’ সিনেমাতে অভিনয় করতেন, তখন তারা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার শিফটে কাজ করতেন, যা তার থেকেও বেশি হতে পারত।

তবে তিনি স্বীকার করেন যে, প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে। নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি যেমন ভীষণ কাজ পাগল মানুষ। আমি বিষয়টাকে অন্যভাবে দেখি।” কিন্তু তিনি দীপিকার ক্ষমতা এবং সাহসের প্রশংসা করে বলেন, “যদি কোনও নায়িকা অনায়াসে এটা বলতে পারেন যে, ‘আমি এত ঘণ্টাই কাজ করতে চাই’, তাহলে বুঝতে হবে তার মধ্যে সেই ক্ষমতাটা রয়েছে। সেই নায়িকার জন্য আরও শক্তি কামনা করলাম।”

দীপিকার মন্তব্যে এক প্রকার পক্ষ নিয়েই মাধুরী তার সংযোজন, কাজের সময়সীমার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে কাউকে জোর করা উচিত নয়। কাজের সময় বেছে নেওয়া প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার, এবং এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্যেই সাম্য নিহিত।

জনপ্রিয়

ড. এজাজুল ইসলাম: অভিনয় ও চিকিৎসার বিরল সমন্বয়

পারিশ্রমিক বৈষম্য ও কাজের সময়সীমা: বলিউডে নায়িকাদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিতে সোচ্চার মাধুরী দীক্ষিত

প্রকাশিত : ০৫:২৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

চলচ্চিত্র দুনিয়ায় নায়ক-নায়িকাদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে যে চিরাচরিত বৈষম্য বিদ্যমান, তা নতুন কোনো আলোচনার বিষয় নয়। প্রায়শই শোনা যায় যে, অভিনেতাদের তুলনায় অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের মাপকাঠি অনেক কম, এমনকি কাজের সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে থাকেন। সম্প্রতি এই ইস্যুটি আবার বড় আকারে আলোচনায় আসে যখন দীপিকা পাড়ুকোন দৈনিক আট ঘণ্টার শুটিং শিফটের দাবি তুলে ‘পুরুষতান্ত্রিক ফিল্মিদুনিয়া’য় এক নাড়িয়ে দিয়েছিলেন, যা নিয়ে চর্চা এখনো চলছে।

এবার এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত শুধু পারিশ্রমিক বৈষম্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে নারীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সোচ্চার হলেন। তার মন্তব্য অনুযায়ী, এই বেতন বৈষম্য কেবল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্রতিটা কর্পোরেট সেক্টরেই দেখা যায়।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত, যিনি অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত থেকে শুরু করে শাহরুখ খান, সালমান খান এবং আমির খানের মতো প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। সেই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে মাধুরী বলেন যে, পারিশ্রমিক নিয়ে এমন বৈষম্য ‘চিরকালের’। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই সবাই এর জন্য লড়াই করছেন এবং এটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, নায়িকাদেরও পারিশ্রমিক বাড়ানো উচিত। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, “আমি বলছি না, পুরুষদের থেকে বেশি পারিশ্রমিক দিতে হবে, কিন্তু কোথাও একটা সমতা বজায় রাখা দরকার।”

শুধু পারিশ্রমিক নয়, মাধুরী দীক্ষিত দীপিকা পাড়ুকোনের দাবি করা ৮ ঘণ্টার শুটিং শিফট নিয়েও মুখ খুলেছেন। বলিউডের এই ‘ধক ধক গার্ল’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে জানান, তিনি যখন ‘মিসেস দেশপাণ্ডে’ সিনেমাতে অভিনয় করতেন, তখন তারা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার শিফটে কাজ করতেন, যা তার থেকেও বেশি হতে পারত।

তবে তিনি স্বীকার করেন যে, প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে। নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি যেমন ভীষণ কাজ পাগল মানুষ। আমি বিষয়টাকে অন্যভাবে দেখি।” কিন্তু তিনি দীপিকার ক্ষমতা এবং সাহসের প্রশংসা করে বলেন, “যদি কোনও নায়িকা অনায়াসে এটা বলতে পারেন যে, ‘আমি এত ঘণ্টাই কাজ করতে চাই’, তাহলে বুঝতে হবে তার মধ্যে সেই ক্ষমতাটা রয়েছে। সেই নায়িকার জন্য আরও শক্তি কামনা করলাম।”

দীপিকার মন্তব্যে এক প্রকার পক্ষ নিয়েই মাধুরী তার সংযোজন, কাজের সময়সীমার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে কাউকে জোর করা উচিত নয়। কাজের সময় বেছে নেওয়া প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার, এবং এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্যেই সাম্য নিহিত।